ইংরেজি ০৫-০৪-২০২৫ তারিখ বরিশাল মহানগরীর এয়ারপোর্ট ও কাউনিয়া থানার সীমান্তবর্তী বাঘিয়া গ্রামে কচুরিপানা ভর্তি একটি পরিত্যাক্ত ডোবায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন ৯৯৯ এর মাধ্যমে এয়ারপোর্ট থানার সংবাদ দেন।
সংবাদ পেয়ে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত মোঃ হাসান প্যাদা (৩০), পিতা-খোকন প্যাদা, মাতা-মোসাঃ রেনু বেগম, সাং-লাকুটিয়া, বকসির চর, থানা-এয়ারপোর্ট, জেলা-বরিশালের লাশ তার পরিবারের সহায়তায় শনাক্ত করে। তাৎক্ষণিক লাশের সুরতাল রিপোর্ট প্রস্তুত ও ময়না তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এ সংক্রান্ত এয়ারপোর্ট থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করে।
মামলা রুজুর পর ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে তদন্ত কর্মকর্তা সহ এয়ারপোর্ট থানার একটি চৌকস টিম ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সার্বিক তদারকিতে নিরলস ভাবে কাজ করে।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতি দ্রুত সময়ে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত অভিযুক্ত হত্যাকারী ১) মোঃ সাকিব সরদার (২০), পিতা-হারুন সরদার, মাতা-সেতারা বেগম, সাং-ক্ষুদ্রকাঠি, ৫নং ওয়ার্ড, থানা-এয়ারপোর্ট, জেলা-বরিশাল কে ০৭-০৪-২০২৫ খ্রিঃ রাত অনুমান ০১:৫০ টায় নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে তার হেফাজত থেকে মৃত হাসানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে ২) মোঃ মুন্না হাওলাদার (২১), পিতা-মোঃ চাঁন মিয়া হাওলাদার, মাতা-মালেকা বেগম, সাং-চেচরীগ্রাম, থানা- কাঠালিয়া, জেলা- ঝালকাঠি, বর্তমান সাং-দক্ষিণ বাঘিয়া, ২৯নং ওয়ার্ড, শাহজালাল সড়ক, রহিম হাওলাদারের বাসার ভাড়াটিয়া, থানা-এয়ারপোর্ট, জেলা-বরিশালকে রাত অনুমান ০৩:১৫ টায় তার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করে।
তদন্তকালে প্রাথমিকভাবে জানা যায়, অভিযুক্ত রাকিব, মুন্না এবং মৃত হাসান পাশাপাশি বাসার বাসিন্ধা এবং ঘনিষ্ঠ সহচর। গত ০২-৪-২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ১০:০০ ঘটিকায় অভিযুক্ত সাকিব ও মুন্না মাদক সেবন করার উদ্দেশ্যে মৃত মোঃ হাসানকে নিয়া বাড়ির পিছনে জনৈক মোঃ শাহজাহান হাওলাদার এর বাগানে যায়। সেখানে তাহারা ৩ জনে একত্রে ধুমপান করে। এক পর্যায়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে মাদক সেবনের টাকা সংগ্রহের জন্য অভিযুক্ত রাকিব এবং মুন্না প্যান্টের বেল্ট খুলিয়া মৃত হাসান এর গলায় লাগায়। সাকিব হাসানের দুই পা চাপিয়ে ধরে এবং মুন্না বেল্ট টান দিয়া গলায় ফাঁস লাগাইয়া হাসানের মৃত নিশ্চিত করে হাসানের পকেটে থাকা টাকা এবং মোবাইল নিয়ে নেয় এবং লাশ গোপন করার উদ্দেশ্যে মোঃ শাহজাহান হাওলাদার এর পরিত্যাক্ত ডোবায় নামাইয়া কচুরি পানার নিচে পানির মধ্যে তলিয়ে রাখে ও মৃত হাসানের পায়ের স্যান্ডেল এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত সাবিকের বেল্ট ঘটনাস্থলের পাশে ডোবার মধ্যে ফেলে
অভিযুক্তদের দেওয়া তথ্য মতে মৃত হাসান এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, হত্যার কাজে ব্যবহৃত কোমরের বেল্ট এবং মৃত হাসানের পায়ের জুতা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।
মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।