মোঃ
ইব্রাহিম খান, বয়স মাত্র ২২ বছর। দৃশ্যত আয়ের কোন বৈধ উৎস না থাকা সত্ত্বেও খুবই স্বল্প সময়ের মধ্যেই কিভাবে যেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন। বিষয়টি এলাকার সকলের নিকট বেশ রহস্যেরও সৃষ্টি করে।
সম্প্রতি ইব্রাহিম স্থানীয় মোহাম্মদ রুহুল আমিন নামক জনৈক ব্যক্তিকে অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে অনলাইনে ভার্চুয়াল কারেন্সি ক্রয় বিক্রয়ে প্রলুব্ধ করে তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেন। কিছুদিন পর রুহুল আমিন তার টাকা ও মুনাফা চাইলে অভিযুক্ত ইব্রাহিম বিভিন্ন অজুহাতে টাকা ফেরত না দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকেন।
এ সংক্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের একটি বিশেষ অভিযানিক টিম ইন্সপেক্টর (অপারেশন) বিপ্লব মিস্ত্রীর নেতৃত্বে নগরীর একটি ভাড়া বাসা হইতে মোঃ ইব্রাহিম খান @ কামরান (২২), পিতা- মোঃ আবুল কালাম খান, মাতা-হোসনেয়ারা বেগম, সাং-রসুলপুর, ০৯নং ওয়ার্ড, থানা-কোতয়ালী, জেলা-বরিশালকে আটক করে তার হেফাজত হতে দুটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
মোবাইল ফোনের ডাটা পর্যালোচনা করে দেখা যায় অভিযুক্ত ইব্রাহিম পুরোদস্তুর একজন অনলাইন জুয়া ব্যবসায়ী। সে বিভিন্ন এ্যাপস্ এর মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন সাইটে জুয়া খেলে থাকে এবং অনলাইন জুয়ার কাস্টমার ধরতে অধিকাংশ সময়ই ব্যস্ত থাকে।
এছাড়াও অভিযুক্ত বিভিন্ন মোবাইল এ্যাপস্ এ একাধিক এজেন্ট একাউন্টের মাধ্যমে প্রায় ৭০/৭২ জন অনলাইন জুয়ারীদের নিকট অনলাইনে জুয়ার ভার্চুয়াল কারেন্সি কেনাবেচা করে ও তা বাংলাদেশী কারেন্সি নগদ টাকায় রূপান্তর করে বিভিন্ন উপায়ে অর্থ আত্মসাৎ করে।
উল্লেখ্য যে অভিযুক্তের ব্যবহৃত নগদ ও বিকাশ একাউন্টে জুয়ার ২,৭৩,০০০/- (দুই লক্ষ তিহাত্তর হাজার) টাকা মোবাইল ফোন সহ জব্দ করা হয়।
উক্ত ঘটনায় ধৃত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
কথায় আছে চোরের দশ দিন আর গৃহস্থের একদিন। তাই, অনলাইন জুয়ার আসরে মত্ত সম্মানিত (!) নাগরিকবৃন্দের সত্ত্বর সরে পরাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
আপনার নিরাপত্তার পাশাপাশি আপনার সাইবারস্পেসের নিরাপত্তায়ও বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ সদাজাগ্রত।