গত ০৯-০৪-২০২৫ খ্রি. বরিশাল মহানগরীর ২০ নং ওয়ার্ডস্থ কলেজ এভিনিউ জিমি ভবনের দোতলায় পরকিয়া ঘটিত বিষয় কে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত প্রেমিকা ও তার সহযোগী আত্মীয়স্বজনদের ছুরিকাঘাতে মারাত্মক আহত হয়ে ভিকটিম মাসুদুর রহমান বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন মর্মে ভিকটিমের ভাইয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ মামলা রুজু করে।
মামলার রুজুর পর তদন্তকারী কর্মকর্তা মৃতদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত সহ প্রাথমিক কার্যাবলিক সম্পাদন করে মামলার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যান।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় তদন্তকারী কর্মকর্তার নিরলস পরিশ্রম, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অতি অল্প সময়ে ঘটনার সহিত সম্পৃক্ত অভিযুক্ত প্রেমিকা হাফিজা বেগম শান্তা (৩১) পিতা: শওকত হোসেন মোল্লা, মাতা- কহিনুর বেগম এবং ০২ শওকত হোসেন মোল্লা (৬৩) পিতা : মৃত হাচেন আলী মোল্লা, মাতা : মৃত আছিয়া বেগম উভয় সাং - নথুল্লাবাদ,শেরে বাংলা সড়ক, ২৮ নং ওয়ার্ড থানা এয়ারপোর্ট দ্বয়কে কোতোয়ালি মডেল থানা এলাকা থেকে ১৩-৪-২৫ তারিখ গ্রেপ্তার করেন।
তদন্তকালের জানা যায় অভিযুক্ত হাফেজা বেগম ওরফে শান্তা ভিকটিমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে দীর্ঘদিন থেকে টাকা পয়সা আত্মসাৎ করে আসছে। অভিযুক্ত হাফিজা ঘটনার দিন ভিকটিমকে প্ররোচিত করে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে গিয়ে অভিযুক্তকে বিয়ে করার জন্য প্রথমে মৌখিকভাবে চাপ প্রয়োগ করে ভিক্টিম সম্মতি না দিলে অভিযুক্ত হাফিজা তার অপর সহযোগী অভিযুক্তদের সহায়তায় ভিক্টিম কে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে তার সাথে থাকা ১, ৬০,০০০/- টাকা হাতিয়ে নেয়। ভিকটিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করালে ভিকটিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ অতি দ্রুততম সময়ে সর্বোচ্চত্ব পেশাদারিত্বের সাথে মামলার রহস্য উদঘাটন ও মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করতে সক্ষম হয় ।
ধৃত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS