Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

Title
কখনো বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী, কখনো আবার প্রধানমন্ত্রীর পার্সোনাল অফিসার!
Details

মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান তারিকুল ইসলাম।  বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে মেডিএইড ডায়াগনিস্টিক ল্যাবে চাকুরি করেন। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ভালো একটা চাকরি, সরকারি হলে তো সোনায় সোহাগা। এভাবেই কাটছিল দিন। এর মধ্যে হঠাৎ করেই একদিন তার ল্যাবে আসেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাকিল আহম্মেদ। সেখানেই তরিকুলের সাথে প্রধান নির্বাহীর পরিচয় হয়। কথাবার্তার এক পর্যায়ে দুজনার মাঝে সুসম্পর্ক গড়ে উঠলে প্রধান নির্বাহী সাকিল আহম্মেদ তরিকুলকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে লাইসেন্স শাখার সুপারভাইজার পদে চাকুরী করার প্রস্তাব দেন।  তরিকুল তো মহা খুশি! যদিও এজন্য তাকে গুনতে হবে বেশ কিছু টাকা। বহু কষ্টে বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা জোগাড় করে প্রধান নির্বাহীকে প্রায় ৭২,৫০০ টাকা দেন। 
কিন্তু টাকা নিয়েও তরিকুলকে চাকুরী না দিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকেন প্রধান নির্বাহী। এক পর্যায়ে যখন ফোন ধরাও বন্ধ করে দেন তখন তরিকুলের মনে সন্দেহ দানা বাধে। তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে গিয়ে প্রধান নির্বাহী সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন তিনি প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন। সাকিল আহম্মেদ নামে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে কোন ব্যক্তি কর্মরত নেই!  অতঃপর তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় এ বিষয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজু হওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সার্বিক দিক-নির্দেশনায়  মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিএমপি গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক ছগির হোসেনের নেতৃত্বাধীন টিম মামলার রুজুর মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য, সোর্স এর তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্ত মো: শাকিল আহম্মেদ (৫০), পিতা- গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ, মাতা- নাছিমা বেগম, সাং- পূর্ব সুবিদখালি, থানা- মির্জাগঞ্জ, জেলা- পটুয়াখালী কে ঢাকার মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Attachments
Publish Date
01/05/2024
Archieve Date
31/05/2024